পটুয়াখালীর গলাচিপায় মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছে মা ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড কালিকাপুর গ্রামের হানিফ প্যাদা বাড়িতে। ঘটনা সূত্রে ও মা ফেরেজা বেগম জানান, প্রায় চার মাস আগে আমার ছেলে মো. সোহাগ প্যাদার সাথে পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের গাজী বাড়ির শাহজাহান গাজীর মেয়ে ছালমা বেগমের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমার ছেলের বউয়ের বাবা-মায়ের কথামত চলাফেরা করে। আমার ছেলেকে স্বামীর মর্যাদা দেয় না। মেয়ে প্রায়ই আমার ছেলেকে না বলে এখানে সেখানে চলে যায়। এ নিয়ে একাধিকবার বসাবসি হলেও কোন সুরহা হয় নি। তিনি আরও জানান, আমি গাজী কালুর আশেকান (মুরিদ)। আমার বাসায় গাজী কালুর আসন আছে। আমি পর্দা করি।
কিন্তু আমার পুত্রবধূ পর্দায় থাকতে চায় না। কথায় কথায় আমাদেরকে মামলা করবে বলে জানায়। আমি অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিলেও কোন সুরহায় পৌঁছতে পারি নাই। আমার ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাদেরকে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। এখন আমি কি করব বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে ছেলের বাবা হানিফ প্যাদা জানান, আমি একজন দিনমজুর গরিব মানুষ। মানুষের সাথে কাজ করে কোন রকম চলি। আমার ছেলে আমার সাথেই থাকে। কিন্তু আমাদেরকে আমার বেয়াই বাড়ির লোকজন মিথ্যা মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি পরিবার নিয়ে ভয়ে আছি।
আমি এ থেকে বাঁচতে চাই এবং একটা সুরহা হলে ভাল হয়। এ বিষয়ে ছেলে মো. সোহাগ প্যাদা বলেন, বিবাহের এক মাস পর্যন্ত আমার স্ত্রী আমার কথামতোই চলে। কিন্তু পরে আমার স্ত্রী তার বাবা মায়ের কথামত চলে। তাদের বাড়িতে নিয়ে রাখতে চায় আমাকে। তা না হলে আমাদের নামে মামলা করবে বলে জানায়। আমি আমার বাবা মায়ের বাড়িতে থাকতে চাই। এ বিষয়ে মেয়ের বাবা শাহজাহান গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে ওরা কষ্ট দেয়। তাই আমার কাছে এনে রেখেছি।
এ বিষয়ে মেয়ে ছালমা বেগম বলেন, আমি আমার বাবার বাড়িতে আমার স্বামীকে নিয়ে থাকতে চাই। আমি আমার বাবার কাছে আছি। এ বিষয়ে তুলাতলি গ্রামের ইউপি সদস্য আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, চেয়ারম্যানকে জানানো হবে। গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু বলেন, দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।